বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ৬টি দাবি জানিয়ে ডিসি ও ওসি বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর ও থানা শাখা সমূহ।
দাবি সমূহ হলো:
১. দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা : পবিত্র মাহে রমযানে দিনের বেলায় রোজা রাখা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরয। এ সময় সকল প্রকার পানাহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি ইসলামী শরীয়ত বিশেষ কারণে কাউকে দিনের বেলায় খাদ্য গ্রহণের অনুমতি দিলেও তা প্রকাশ্যে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছে। রমযানের পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ রাখার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।
২. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করা : প্রতি বছর রমযান মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে করোনা মহামারী পরবর্তী জনজীবনে আর্থিক সংকট দৃশ্যমান ও বিপর্যস্ত। জনমানুষের এ দূর্ভোগ লাঘবে আপনার তত্ত্বাবধানে শক্তিশালী বাজার মনিটরিং সেল গঠন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
৩. ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদার করা : কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য তৈরি হয়। রমযান মাস ও ঈদকে সামনে রেখে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল দেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদার এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
৪. অশ্লীলতা-বেহায়াপনার সকল উপায়-উপকরণ বন্ধ করা : পোশাক-পরিচ্ছদ বিলবোর্ড ও গণমাধ্যমে নারী-পুরুষের নেতিবাচক উপস্থাপনা, ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবে ভালগার কন্টেন্ট প্রকাশ ও প্রচারের দ্বারা যুব সমাজের নৈতিকতার স্খলন ঘটানো হচ্ছে। এসব কারনে আমাদের সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। গণধর্ষণের মতো মারাত্মক ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে সংঘটিত হচ্ছে। ফলে যুবসমাজের নৈতিকতা অব্যাহতভাবে অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। দেশে কঠিন শাস্তিমূলক আইন থাকা সত্ত্বেও এগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা মনেকরি, শুধু অপরাধীর শাস্তি নয়, অপরাধের উৎস মূলোৎপাটন করা দরকার। ইসলাম এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। মাহে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা ও ভাবগাম্ভির্যতা বজায় রাখতে এ সমস্ত উপায়-উপকরণ এবং সকল প্রকার অশ্লীলতা-বেহায়াপনা বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
৫. মাদক দ্রব্যের ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে অভিযান চালানো : মাদক একটি অভিশাপ। মাদক গ্রহণের ফলে শুধু ব্যক্তির জীবন নয়, পরিবার এমনকি সমাজ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে যুব সমাজের মাঝে এ ব্যাধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে; যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশংকার বিষয়। তাই সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালানো দরকার। পাশাপাশি পবিত্র এ মাসে ইসলামের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে মাদক দ্রব্যের ব্যবহার রোধে নানা কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে।
৬. বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখা : রমযান মাসে বিদ্যুত না থাকলে রোজাদারদের কষ্ট অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়; বিশেষত ইফতার, রাতের তারাবিহ’র নামাজ ও সাহরির সময়। তাই উপর্যুক্ত সময়ে লোডশেডিং সংকট নিরসনে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।